Achivement

২ এপিবিএন এর অভিযানে চুরি করে পালিয়ে যাওয়া মালামাল উদ্ধার পূর্বক ০৩ (তিন) জন গ্রেফতার।

মোঃ আব্দুস সুবুর(৫৩), পিতা-মৃত আব্দুর রশিদ, মাতা-মোছাঃ রাবেয়া বেগম, সাং-চর গোয়াডাঙ্গা, থানা-ফুলপুর, জেলা-ময়মনসিংহ ইং ১৩/১১/২০২৩ তারিখ অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) বরাবরে একটি অভিযোগ করে উক্ত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করে যে, বাদীর মেয়ে সাবিকুন নাহার সালমা(২৫), তার দুই কন্যা সন্তান ১।জিয়ানা(৪), ২। আবিবা(১) এবং বাদীর ছোট ছেলে রাকিবুল হাসান(১৮) সহ গত ২৫/১০/২০২৩খ্রিঃ তারিখ রাত্র অনুমান ০৯.৩০ ঘটিকার সময় ময়মনসিংহ হতে বাদীর বাড়ী আসার জন্য অজ্ঞাতনামা সিএনজি গাড়ীতে ময়মনসিংহ ব্রীজ থেকে উঠে রাত্র অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় ফুলপুর থানাধীন আমুয়াকান্দা মোড়ে পৌছায় আমুয়াকান্দা মোড়ে পৌছানোর পর বাদীর ছোট ছেলে রাকিবুল হাসান (১৮) সিএনজি থেকে জিয়ানা(৪) ও একটি লাগেজ নিয়ে নামে এবং বাদীর মেয়ে তার ২য় কন্যা আবিবা(১)কে নিয়ে নামলেও সিএনজিতে থাকা তার ভ্যানিটি ব্যাগ নামানোর আগেই অজ্ঞাতনামা সিএনজি চালক বাদীর মেয়ের ব্যাগে মূল্যবান জিনিসপত্র আছে টের পেয়ে সু-কৌশলে সিএনজি চালিয়ে হালুয়াঘাট অভিমুখে ভ্যানটি ব্যাগসহ ব্যাগে থাকা মূল্যবান মালামাল ১। REALME 5i, যাহার মূল্য অনুমান ১৩,০০০/- (তের হাজার) টাকা, ২। SUMSUNG GALAXY M21,যার মূল্য অনুমান ১৮,০০০/-(আঠারো হাজার) টাকা, ৩। ০৩(তিন) টি স্বর্ণের চেনই, ০২(দুই) টি স্বর্ণের আংটি, ০১(এক)টি হিরার অংটি, ০৩(তিন) জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, যার পরিমান অনুমান দুই ভরি চার আনা, যার মূল্য অনুমান ২,৫০,০০০/-(দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা , ৪। নগদ ৮,০০০(আট হাজার) টাকাসহ পালিয়ে যায়। বাদীর মেয়ে ও ছোট ছেলে অনেক ডাক চিৎকার করেও থামাতে পারেনি। পরবর্তীতে বাদীর ছোট ছেলে উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে ফুলপুর থানায় ০৩টি পৃথক পৃথক সাধারন ডায়েরী করে। একই সাথে আইনগত সহায়তা চেয়ে জাতীয় জরুরী সেবা “৯৯৯” এ কল দেয় এবং ২ এপিবিএন সাইবার শাখায় উল্লেখিত ০৩টি জিডির কপি প্রেরন করে। বাদীর উক্ত অভিযোগ এবং জিডির প্রেক্ষিতে জনাব আলী আহমদ খান, অধিনায়ক(অতিরিক্ত ডিআইজি), ২ এপিবিএন, বাংলাদেশ পুলিশ মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ) এ,বি,এম সাজেদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এসআই(নিঃ)/মোঃ আঃ জলিল সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ ২ এপিবিএন অপাঃ এন্ড ইন্টিঃ শাখার সিসি নং- ৮২/২৩, তারিখ- ১৬/১১/২০২৩ খ্রিঃ মূলে ২ এপিবিএন এর সাইবার টিম এপিবিএন হেডকোয়ার্টাসের্র সিআইএ/এলআইসি শাখার উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় বাদীর মেয়ের মোবাইল ১। REALME 5i, ২। SUMSUNG GALAXY M21 এর বর্তমান অবস্থান সনাক্ত করে ১৬/১১/২০২৩খ্রিঃ তারিখ ১৯.০৫ ঘটিকার সময় ২নং বিবাদী মোঃ সজীব (২২), পিতা-মোঃ রফিকুল ইসলাম, মাতা-মাজেদা বেগম, সাং-বকশিমূল, থানা- তারাকান্দা, জেলা- ময়মনসিংহের হেফাজত হতে ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানাধীন কোদালধর বাজারের মোঃ জনির মুদির দোকানের সামনে রাস্থার উপর থেকে উদ্ধার করে উপস্থিত সাক্ষীদের মোকাবেলায় এসআই(নিঃ)/মোঃ আঃ জলিল একই তারিখ ১৯.৩০ ঘটিকার সময় উপস্থিত সাক্ষীদের উপস্থিতিতে জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করে এবং ধৃত মোঃ সজীব(২২)কে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে উল্লেখিত মোবাইল ফোন ০২টি সে ১নং বিবাদী মোঃ রাশেদ (৩৮), পিতা-মৃত আইনউদ্দিন, মাতা-লিপি বেগম, সাং-তালদিঘী, থানা- তারাকান্দা, জেলা- ময়মনসিংহের নিকট হতে ক্রয় করে বলে জানায়। তার দেওয়া তথ্য মতে একই তারিখ ১৯.৫০ ঘটিকার সময় মোঃ রাশেদ (৩৮) এর অবস্থান সনাক্ত করে তারাকান্দা থানাধীন কোদালধর বাজার এলাকা থেকে আটক পূর্বক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে ইং ২৫/১০/২০২৩খ্রিঃ তারিখ রাতে বাদীর মেয়ের ভ্যানিটি ব্যাগ ও মালামাল নিয়ে পালানোর কথা স্বীকার করে এবং বর্ণিত মোবাইল ফোন ০২টি ২নং বিবাদীর নিকট এবং স্বর্ণ অলংকার ৩নং বিবাদী বাবন চন্দ (৩৬), পিতা-মৃত বাবুল চন্দ, মাতা- বানী চন্দ, সাং-মোকামিয়া কান্দা, সর্বথানা-তারাকান্দা, জেলা-ময়মনসিংহের স্বর্ণের দোকান ‘চন্দ জুয়েলার্সে‘ বিক্রি করে বলে জানায়। তার দেওয়া তথ্য মতে একই তারিখ ২০.২০ ঘটিকার সময় ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানাধীন মধ্যবাজার বাবন চন্দ জুয়েলার্সের দোকান হতে বাবন চন্দ (৩৬) কে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে উক্ত স্বর্ণ অলংকার ১নং আসামী মোঃ রাশেদ (৩৮), এর নিকট থেকে ক্রয় করে গলিয়ে অন্যত্র বিক্রি করেছে মর্মে স্বীকার করে। পরবর্তীতে ধৃত ০৩ জন আসামী ও উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনসহ ফুলপুর থানায় সোপর্দ করা হয়। বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে ফুলপুর থানার মামলা নং-১৩ তাং-১৭/১১/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা- ৩৭৯/৪১১ পেনাল কোড রুজু হয়।

Our others achivements