২ এপিবিএন, বাংলাদেশ পুলিশের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) জনাব আলী আহমদ খান মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় এসআই (নিঃ) মোঃ রবিউল আউয়াল এর নেতৃত্বে ২ এপিবিএন, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহের অপস্ এন্ড ইন্টেলিজেন্স শাখার অভিযান সিসি নং-১০/২৪, জিডি নং-৭৯/২৪, তারিখ-২৪/০৩/২০২৪ খ্রিঃ মূলে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ শেরপুর জেলার নকলা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান ডিউটি করা কালীন নকলা থানাধীন পাইস্কা বাইপাস অবস্থানকালে ইং ২৪/০৩/২০২৪ তারিখ ১৭.২৫ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, নকলা হল পট্টি মোড় এলাকায় কতিপয় ব্যাক্তি জাল টাকা কেনা-বেচা করছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে সংবাদের সত্যতা যাচাই এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ একই তারিখ ১৭.৩৫ ঘটিকার সময় শেরপুর জেলার নকলা থানাধীন হল পট্টি মোড়ের পশ্চিম পাশে শহীদ শাহজাহান সুপার মার্কেটের বাটা শোরুমের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছিলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে একজন ব্যাক্তি পালানোর চেষ্টাকালে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় তাকে ধৃত করে। উপস্থিত সাক্ষি’দের উপস্থিতিতে ধৃত ১। রব্বানি ইসলাম রোহান(১৬), পিতা- মোঃ সোহেল মিয়া, মাতা- মোছাঃ রুমি বেগম, সাং- জানকিপুর, থানা- নকলা, জেলা- শেরপুর এর দেহ তল্লাশি করে তার পরিহৃত প্যান্টের ডান পাশের পকেট হতে তার নিজ হাতে বের করে দেওয়া মতে কথিত জাল টাকার নোট (ক) সর্বমোট ১৯,০০০/-(উনিশ হাজার) টাকা। যার মধ্যে ১,০০০/-(এক হাজার) টাকা’র নোট ১৮ (আঠার) টি, যার প্রত্যেকটিতে একই নম্বার- চ স ২৭৩৫৪০৬ লেখা আছে এবং ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা’র নোট ০২ (দুই) টি, যার প্রত্যেকটিতে একই নম্বার- জ ব ০৮৭৪৭৩৯ লেখা আছে। (খ) তার বাম হাতে থাকা অবস্থায় ০১ (এক) টি কালো রংয়ের Vivo Y12A মডেলের অ্যান্ড্রয়েট মোবাইল ফোন পেয়ে ইং ২৪/০৩/২০২৪ তারিখ বিকাল ১৭.৪০ ঘটিকার সময় জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করে। ধৃত ১নং আসামী’কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত নাম ঠিকানা প্রকাশ করে এবং কথিত জাল টাকার নোট ২ নং আসামী মোঃ রাকিব খান(২৫), পিতা- মোঃ শামীম খান, মাতা- মোছাঃ শাহীন সুলতানা, সাং- নোয়াপাড়া, থানা- আটপাড়া, জেলা- নেত্রকোনা’র কাছ থেকে ক্রয় করেছে মর্মে জানায়। ধৃত ১ নং আসামীর দেওয়া তথ্য মতে এই ইউনিটের সাইবার ক্রাইম সেল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ২ নং আসামীর বর্তমান অবস্থান সনাক্ত করে ইং ২৪/০৩/২০২৪ তারিখ ২১.২০ ঘটিকার সময় নেত্রকোনা সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নেত্রকোনা জেলার সদর থানাধীন নাগরা এলাকার বাজাজ শোরুমের সামনে থেকে ধৃত করা হয়। ২ নং আসামী কথিত জাল টাকা দেশের বিভিন্ন স্থান হতে সংগ্রহ করে ১নং আসামীর নিকট বিক্রি করেছে মর্মে স্বীকার করে। দীর্ঘদিন যাবৎ আসামীদ্বয় দেশের বিভিন্ন স্থান হতে কথিত জাল টাকার নোট সংগ্রহ করে কেনা-বেচা করে আসছে। পরবর্তীতে ধৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে নকলা থানার মামলা নং-১৮, তারিখ- ২৫/০৩/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা- ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন,২৫-ক ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।