বাদী শক্তি চন্দ্র ঘোষ(৩৮), পিতা-শীতল চন্দ্র ঘোষ, মাতা-কাঞ্চনী রাণী, সাং-ভাটপাড়া, থানা, মাধবদী, জেলা-নরসিংদী, এ/পি (ভাড়া বাসা) সাং-নিকুঞ্জ-২, খিলক্ষেত, ডিএমপি ঢাকা গত ইং ১৯/১১/২০২৩ তারিখ অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি), ২ এপিবিএন, বাংলাদেশ পুলিশ বরাবরে বিবাদী ১। মোঃ আজিজুল হক(৩৬), ২। মোঃ তোফাজ্জল হোসেন রুপা(৩২), উভয় পিতা-মোঃ আলাল মিয়া, ৩। মোঃ ইস্রাফিল(৩২), পিতা- তৈয়ব আলী, ৪। মোঃ সুমন (২৬), ৫। সবুজ@ থ্যাটা(২৩), উভয় পিতা- ঠান্ডু সালাম, সর্ব সাং- কালুরঘাট, থানা- মুক্তাগাছা- জেলা-ময়মনসিংহ, ৬। নুরুল আমিন(২৫), পিতা- নুর মোহাম্মাদ, মাতা- খুরশেদা বেগম, সাং- মাদুয়াখালী পিএম, থানা- সদর, জেলা- কক্সবাজার, ৭। মোঃ নাঈম(২৫), পিতা- অজ্ঞাত, সাং- অজ্ঞাত, থানা- অজ্ঞাত, জেলা- অজ্ঞাত(৬ নং বিবাদীর পরিচিত)সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করে। উক্ত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করে যে, বাদীর ছোট ভাইয়ের মাধ্যমে বাদীর কিছুদিন আগে ০৬ নং বিবাদীর সাথে পরিচয় হয়। বাদী পেশায় একজন ব্যবসায়ী। বাদীর নিজের গৌড়নগর দাসেরকান্দি রহিম মার্কেট, খিলগাঁও, ঢাকাতে “হেলদি মিট” নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। বাদী দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে ছাগল ক্রয় করে হোটেলে মাংস সরবরাহ করে। ৬ নং বিবাদী বাদীর উক্তরুপ ব্যবসার কথা জানতে পেরে তার পরিচিত লোকদের কাছ থেকে কমদামে ছাগল কিনে দেওয়ার আশ্বাস দেয় এবং বাদীকে ইং-১০/১১/২০২৩ তারিখ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানা এলাকায় আসলে কমদামে ছাগল ক্রয় করে দেবে বলে জানায়। বাদী ৬নং বিবাদীর কথা সরল মনে বিশ্বাস করে ইং-১০/১১/২০২৩ তারিখ দুপুর অনুমান ১৩.০০ ঘটিকায় নগদ টাকাসহ বাদীর সঙ্গীয় ১। মোঃ জুলহাস উদ্দিন (২৮), মোবাইল- পিতা-মৃত রফিক মন্ডল, মাতা- ঝরনা বেগম, সাং- বানিয়াজান, থানা- ধনবাড়ী, জেলা- টাঙ্গাইল। ২। মোঃ তাজ উদ্দিন(৫৫), পিতা- সোনা উল্লাহ মন্ডল, মাতা-খদেজা বেগম, সাং-পনিরপাড়া, থানা- গাবতলি, জেলা- বগুড়াদের নিয়ে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করে প্রাইভেটকারের চালক ৩। মোঃ আবুল কাশেম(৩৫), পিতা- আব্দুল মালেক, সাং- উত্তর ভাটামারা, থানা- বোরহানউদ্দিন, জেলা- ভোলাসহ মুক্তাগাছা থানাধীন কালিবাড়ীতে আসে। সেখানে ৬ ও ৭ নং বিবাদী বর্ণিত বাদী ও তার সঙ্গে থাকা লোকদের রিসিভ করে একই তারিখ ১৪.০০ ঘটিকার সময় মুক্তাগাছা থানাধীন নয়াপাড়া সাকিনস্থ কালুরঘাট বোয়ালমারী কাঠের বাগানে নিয়ে যায়। অতঃপর সেখানে উল্লেখিত সকল বিবাদীগণ উপস্থিত ছিলো। উল্লেখিত বিবাদীগণ বাদীসহ সঙ্গীয়দের ছাগল না দিয়ে বিবাদীগণের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত ভাবে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে এবং তাদের কাছে থাকা নগদ মোট ৪,৫০,০০০/- (চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা এবং ৪টি অ্যান্ড্রয়েট ও ০৫ টি বাটুন মোবাইল ফোন যার মোট মূল্য অনুমান ১,০০,০০০/-(এক লক্ষ) টাকা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়। বিবাদীগণ বাদীসহ তার সঙ্গীয়দের খুন জখমের হুমকী দিয়ে ঘটনাস্থল হতে তাড়িয়ে দেয়। বাদীসহ তার সাথে থাকা সবাই প্রাণের ভয়ে উক্ত স্থান হতে চলে আসে। পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী শিমুলতলা বাজারে এসে স্থানীয় উপস্থিত লোকজনকে উক্ত বিষয়টি অবগত করে এবং উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত বলে। বাদী স্থানীয় লোকদের ১নং বিবাদীর নাম বললে তারা ১নং বিবাদীর ঠিকানা বলে। বিষয়টি নিয়ে বাদী ও তার সঙ্গীয়দের আত্বীয় স্বজনের সাথে আলোচনা করলে তারা ২ এপিবিএন, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহে আসতে বলে। বাদী উল্লেখিত বিষয়ে আইনগত সহায়তার জন্য ২ এপিবিএন, অপস্ এন্ড ইন্টেলিজেন্স শাখায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। ভিকটিমের উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জনাব আলী আহমদ খান, অধিনায়ক(অতিরিক্ত ডিআইজি), ২ এপিবিএন, বাংলাদেশ পুলিশ এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় ২ এপিবিএন অপাঃ এন্ড ইন্টিঃ শাখার সিসি নং- ৮১/২৩, তারিখ- ২০/১১/২০২৩ খ্রিঃ মূলে এসআই(নিঃ)/সৈয়দ আসাদুজ্জামান সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ এপিবিএন হেডকোয়ার্টার্সের এলআইসি/সিআইএ শাখার উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় উল্লেখিত বিবাদীর অবস্থান সনাক্ত করে ২০/১১/২০২৩খ্রিঃ তারিখ মুক্তাগাছা থানাধীন ধুললা ইউনিয়নের কালুরঘাট গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১নং বিবাদীকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে ১ নং বিবাদী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং উল্লেখিত বিবাদীগনের নাম ঠিকানা প্রকাশ করে। ১ নং বিবাদীর বসত বাড়ী তল্লাশি করে ছিনিয়ে নেওয়া ১ টি অ্যান্ড্রয়েট ও ০৩ (তিন) টি বাটন মোবাইল ফোন যার মূল্য অনুমান ৩০,০০০/-(ত্রিশ হাজার) টাকা এবং নগদ ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা ১নং বিবাদী নিজ হাতে বের করে দেওয়া মতে উদ্ধার করে এসআই(নিঃ) সৈয়দ আসাদুজ্জামান জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করে। পরবর্তীতে ধৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত ০৪ টি মোবাইল ফোন এবং ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকাসহ মুক্তাগাছা থানায় সোপর্দ করা হয়। ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে মুক্তাগাছা থানার মামলা নং-২৬, তাং-২১/১১/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-৪০৬/৪২০/৩২৩/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড রুজু করা হয়।