ভিকটিম মোছাঃ ইসরাত জাহান ইমু (২১) এর সাথে বিবাদী ১। ইমরান হাসান সিজান (২৮), ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানাস্থ পৌরসভা এলাকায় পাট বাজার তার নানার বাড়ী যাতায়াতের সুবাধে অনুমান ২ বছর আগে পরিচয় হয়। ভিকটিমের খালাতো ভাইয়ের নিকট হতে কৌশলে ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে তার সাথে কথা বলতো এবং রাস্তায় বের হলে বিভিন্ন ভাবে বিরক্ত করতো। তার পরিবারের লোকজনকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিত। সে ভয়ে লজ্জায় তার সাথে কথা বলত। কথা বলার এক পর্যায়ে বিবাদী আনুমানিক ৩ মাস আগে তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি সহ অস্ত্র দেখিয়ে জিম্মি করে তার পরিচিত জায়গায় নিয়ে যায় এবং জোর পূর্বক তার কিছু আপত্তিকর ছবি তোলে। পরবর্তীতে বিবাদী তাকে তার ছবি দেখিয়ে ব্লাক মেইল করত। সে তার সাথে দেখা করতে বাধ্য করে। সে তার এবং পরিবারের সম্মানের কথা চিন্তা করে ইং ১০/১১/২০২৩ তারিখ ঈশ্বরগঞ্জ থানাধীন মোড়া কলা নামক স্থানে দেখা করলে বিবাদী তাকে তার বসত বাড়ীর নিজ শয়ন কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা স্থানে জোর পূর্বক নিয়ে গিয়ে একাধিক বার ধর্ষন করে এবং গোপনে মোবাইল ফোনে ভিডিও করে। সে তার এহেন কর্মকান্ড দেখে তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। এমতাবস্থায় ইং ২১/১২/২০২৩ তারিখ বাদীর পারিবারিক ভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বাদীর বিবাহ হওয়ার পরও উক্ত বিবাদী তাকে বিভিন্ন নাম্বার হতে কল দিয়ে তার সাথে দেখা করার জন্য চাপ দিতে থাকে। সে তার সাথে দেখা না করলে সে তার আপত্তিকর ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল করে দেবে মর্মে হুমকি দেয়। সে তার এবং পরিবার তথা তার স্বামীকে ফোনে হুমকি দেয় এবং বিবাদী গোপনে কৌশলে ধারন করা ছবি ও ভিডিও ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে দেয়। গত ইং-০৮/২/২০২৪ তারিখ রাত অনুমান: ১১.০০ ঘটিকায় বাদী তার নানার বাড়ীতে থাকা অবস্থায় বিবাদী তাকে তার ব্যবহৃত ০১৯০৯-৪২৮৯৯৪ নম্বর হতে ফোন করে বিভিন্ন হুমকি স্বরুপ কথাবার্তা বলে এবং বিভিন্ন মানুষের কাছে তার আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে মর্মে জানায়। তাছাড়া সে বাদীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। যা বাদীর মোবাইল ফোনে ভয়েস রেকর্ড সহ বিভিন্ন অশ্লীল ছবি সংরক্ষিত আছে। উক্ত বিবাদী তাকে ফোন করে আপত্তিকর প্রস্তাব দিতে থাকে। ভিকটিম বিবাদীর আপত্তিকর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে রাগে ক্ষোভে Israt Jahan নামক ফেইক ফেইসবুক আইডি খুলে (যার লিংক https://www.facebook.com/profile.php?id=61554100211403...) বাদী এবং তার স্বামীর পরিচিত বিভিন্ন মানুষের কাছে ফেইসবুক ম্যসেঞ্জারের মাধ্যমে আপত্তিকর ভিডিও এবং ছবি প্রেরন করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয়। তার এরুপ কর্মকান্ডে সে ভয়ে লজ্জায় উক্ত বিষয়ে আইনগত সহায়তার জন্য জাতীয় জরুরী সেবা "৯৯৯" এ কল দিলে "৯৯৯" তাকে ২ এপিবিএন, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহের সাইবার ক্রাইম সেলে আসতে বলে। ভিকটিম ইং ১২/০২/২০২৪ তারিখ ২ এপিবিএন, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহের সাইবার ক্রাইম শাখায় হাজির হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করে। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইং ১৩/০২/২০২৪ তারিখ ২ এপিবিএন, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আলী আহমদ খান মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় ২ এপিবিএন, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহের সাইবার ক্রাইম সেল এপিবিএন, হেডকোয়ার্টার্স এর এলআইসি/সিআইএ শাখার উন্নত তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত বিবাদীর অবস্থান সনাক্ত করে ইং ১৩/০২/২০২৪ তারিখ অপস এন্ড ইন্টেলিজেন্স শাখার সিসি নং- ০৪, তারিখ- ১৩/০২/২০২৪ ইং মূলে এসআই(নিঃ)/ মোঃ আঃ জলিল এর নেতৃত্বে সাইবার ক্রাইম টিম (মেটা-১/২) সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সেসহ ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানাধীন হাসপাতাল রোড এলাকা হতে উক্ত বিবাদীকে আটক করে। তার কাছে থাকা ০২ টি মোবাইল ফোন জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করে পর্যালোচনা করলে ভিকটিমসহ একাধিক নারীদের অশ্লীল, কুরুচিপূর্ন ছবি ও ভিডিও এবং ফেইক ফেইসবুক আইডি Israt Jahan পাওয়া যায়। যাতে বাদীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে প্রেরণের তথ্য বিদ্যমান। পরবর্তীতে ধৃত আসামীকে ময়মনসিংহ জেলার ইশ্বরগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়।ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে ইশ্বরগঞ্জ থানার মামলা নং-১৪ তারিখ-১৩/০২/২০২৪খ্রিঃ, ধারা- পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইন ৮(১/২/৩) তৎসহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ২০২০ এর ৯(১) ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।