Achivement

ফুলবাড়ীয়ায় কলেজ ছাত্রীর গোসলের ভিডিও ধারন করে ব্লাক মেইল, ২ এপিবিএন কতৃক অভিযুক্ত গ্রেফতার।

ধৃত আসামী মোঃ শামসুল হক(৩৩), পিতা- মোনায়েম হোসেন, মাতা- পারভীন আক্তার, সাং- আকন্দপাড়া, থানা- ফুলবাড়ীয়া, জেলা- ময়মনসিংহ ‘আকন্দ কৃষি সমবায় সমিতি’তে চাকরি করে। ভিকটিম আয়রিন আক্তার (১৭) (ছদ্মনাম), সাং- নিশ্চিন্তপুর, থানা- ফুলবাড়ীয়া, জেলা- ময়মনসিংহের মা উক্ত বিবাদীর নিকট হতে কিস্তিতে টাকা নেয়। বিবাদী উক্ত কিস্তির টাকা আদায়ের জন্য ভিকটিমের বাড়ীতে নিয়মিত যাওয়া আসা করার সুবাদে গোপনে ভিকটিম আয়রিন আক্তার (ছদ্মনাম) এর গোসলের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারন করে ব্লাক মেইল এবং বিবাদীর সাথে শারিরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ক্রমাগত চাপ দিতে থাকে। ভিকটিম তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে উক্ত বিবাদী তার কাছে থাকা ভিকটিমের অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে, সমাজে ভিকটিমের পরিবারের মান সম্মান নষ্ট করে দেবে এবং ভিকটিম‘কে কোথাও বিয়ে হতে দেবে না মর্মে হুমকি প্রদান করতে থাকে। উক্ত বিবাদী ভিকটিম‘কে তার সমিতির অফিসে দেখা করতে বলে। ভিকটিম তার সাথে দেখা করলে সে অশ্লীল ভিডিও ডিলিট করে দেবে বলে জানায়। এক পর্যায়ে ভিকটিম সম্মান বাচাতে উক্ত বিবাদীর সাথে ইং ২৪/৮/২০২৩ তারিখ দুপুর অনুমান ০১.৩০ ঘটিকার সময় বিবাদীর ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া থানাধীন তালতলা বাজারের ‘আকন্দ কৃষি সমবায় সমিতি‘র আফিসে দেখা করলে উক্ত বিবাদী ভিকটিমকে তার সমিতির অফিসের পেছনের গোপন কক্ষে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষন করে এবং পুনরায় ধর্ষনের ভিডিও তার মোবাইলে ধারন করে। পরবর্তীতে ভিকটিম‘কে হুমকি দেয় যে, উক্ত ধর্ষনের বিষয়ে যদি সে কাউকে বলে এবং এরপর থেকে তার কথামতো না চলে তাহলে অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেবে। বিবাদীর উক্ত হুমকিতে ভিকটিম ভয়ে তার লালসার শিকার হয়ে চাহিদা মতো তার সাথে নিয়মিত দেখা করতে থাকে। উক্ত বিবাদীর সাথে ভিকটিম দেখা করলে উক্ত বিবাদী তার সমিতির অফিসে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষন করে এবং তা মোবাইলে ভিডিও ধারন করে নিয়মিত ব্লাক মেইল করতে থাকে। এক পর্যায়ে ভিকটিম ভয়ে লজ্জায় উক্ত বিবাদীর মানুষিক নির্যাতন সয্য করতে না পেরে মা’কে জানালে বিবাদীর সঙ্গে দেখা করে তার মেয়ের সাথে যা করেছে তার বিষয়ে জানতে চাইলে বিবাদী ভিকটিমের মা’কে অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দেয়। এরুপ হুমকিতে ভিকটিমের মা ভয়ে বিবাদীর অফিস থেকে চলে আসে। এক পর্যায়ে পারিবারিকভাবে ভিকটিমের বিয়ের বিষয়ে কথা-বার্তা হতে থাকে। ভিকটিমের বিয়ের কথা উক্ত বিবাদী জানতে পেরে ভিকটিমকে বিয়ে না করার জন্য চাপ দিতে থাকে এবং ভিকটিমকে তার সাথে দেখা করতে বলে। ভিকটিম তার কথায় রাজি না হওয়ায় উক্ত বিবাদী রাগে ক্ষোভে তার কাছে থাকা অশ্লীল আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও উক্ত বিবাদীর ব্যবহৃত MD Samsul Alom Akanda নামক ফেইসবুক আইডির ম্যাসেঞ্জার হতে Md Soikot, Anis Khan, Md Anis Khan, Mamuni Akther Jui সহ ভিকটিমের বিভিন্ন পরিচিত জনের কাছে এবং কলেজের বন্ধু/বান্ধবীদের কাছে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে প্রেরণ করে। যার ফলে লজ্জায় ভয়ে ভিকটিমের কলেজ যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। গত ইং ০৭/৬/২০২৪ তারিখ উক্ত বিবাদী ভিকটিম‘কে পুনরায় হুমকি দেয় যে, সমিতির অফিসে গিয়ে তার সাথে শারিরিক সম্পর্ক না করলে সে তার কাছে থাকা অশ্লীল ও আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেবে। উক্ত বিবাদীর এরুপ হুমকিতে ভিমটিম তার সম্মান বাঁচাতে তার মায়ের সাথে আলোচনা করে উক্ত বিষয়ে জাতীয় জরুরী সেবা “৯৯৯” এ কল দিলে “৯৯৯” ভিকটিমের সাথে ২ এপিবিএন, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহের সাইবার ক্রাইম সেলের কর্তব্যরত অফিসারের যোগাযোগ করে দিলে ইং-০৯/৬/২০২৪ তারিখ ২ এপিবিএন, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহে ভিকটিমের মা’সহ হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করতে বলেন। ভিকটিমের দাখিলকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২ এপিবিএন, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আলী আহমদ খান মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় ২ এপিবিএন সাইবার ক্রাইম সেল এপিবিএন হেডকোয়ার্টার্সের সিআইএ/এলআইসি শাখার উন্নত তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত বিবাদীর বর্তমান অবস্থান সনাক্ত করে একই তারিখ সহকারী পুলিশ সুপার(সদর) শেখ জিয়াউল ইসলাম এর নেতৃত্বে এসআই(নিঃ) সৈয়দ আসাদুজ্জামান সহ অভিযানিক দল ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া থানাধীন ৭ নং বাকতা ইউনিয়নের তালতলা বাজারের ‘আকন্দ কৃষি সমবায় সমিতি’র অফিস হতে বিবাদী ১। মোঃ শামসুল হক(৩৩) কে গ্রেফতার করে এবং তার হেফাজত হতে ০২ টি স্মার্ট মোবাইল ফোন ও ০১ টি ল্যাপটপ উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে পর্যালোচনা করে ভিকটিমের একাধিক অশ্লীল ভিডিও ও ছবিসহ একাধিক মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের তথ্য এবং ফেইসবুক ম্যসেঞ্জারের মাধ্যমে ভিকটিমের পরিচিত জনের কাছে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও প্রেরণের তথ্য পাওয়া যায়। ধৃত আসামীকে ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া থানায় সোপর্দ করে ফুলবাড়ীয়া থানার মামলা নং-১১ তারিখ-০৯/৬/২০২৪খ্রিঃ, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এর ৯(১) তৎসহ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইন ২০১২ এর ৮(১/২/৩) ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।

Our others achivements