ফারজানা আক্তার(২১), ইংরেজি বিভাগের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী। গত প্রায় ৩/৪ মাস পূর্বে মোঃ রাফিউল ইসলাম(২২), পিতা- সিরাজুল ইসলাম, মাতা- মাকসুদা বেগম, সাং- বন বাংলা, থানা- মুক্তাগাছা, জেলা- ময়মনসিংহের সাথে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে পরিচয় অতঃপর প্রনয় হয়। যার সুবাদে প্রথমে তারা ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে কথাবার্তা বলে এবং কিছুদিন পর মোবাইল নাম্বার আদান প্রদান করে সরাসরি মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলা শুরু করে। এর এক পর্যায়ে গত ১৩/০৪/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ সকালে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর উপ পরিচালকের উদ্যান, কৃষি ফার্মের মোড়, থানা মুক্তাগাছা, জেলা- ময়মনসিংহে দেখা করে। সেখানে অভিযুক্ত মোঃ রাফিউল ইসলাম(২২) ফারজানা আক্তার(২১)কে ফুসলিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে তার ব্যবহৃত এ্যান্ডোয়েড মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কৌশলে তাদের কিছু নগ্ন স্থির ছবি ধারন করে। পরতবর্তীতে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে উক্ত ছবি পাঠিয়ে ভীতি প্রদর্শন করে ফারজানা আক্তার(২১) এর সাথে অনৈতিক মেলামেশা করার জন্য চাপ সৃষ্টিসহ মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। যার ফলে ফারজানা আক্তার(২১), মানষিকভাবে বিপর্যস্থ হয়ে লেখাপড়া এক পর্যায়ে ছেড়ে দেয় এবং নিরুপায় হয়ে তার মামাতো ভাই মোঃ আশরাফুল হক(৩২),কে বিষয়টি জানালে মোঃ আশরাফুল হক(৩২) গত ২৫/০৪/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজ) ২ এপিবিএন, মুক্তগাছা, ময়মনসিংহ বরাবরে আইনগত সহায়তা চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। সে মোতাবেক ২ এপিবিএন, বাংলাদেশ পুলিশের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) জনাব আলী আহমদ খান মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় এসআই(নিঃ)/ সৈয়দ আসাদুজ্জামান সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ মুক্তাগাছা থানাধীন মুক্তাগাছা বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন ড্রিম ট্রিম রেষ্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মোঃ রাফিউল ইসলাম(২২), পিতা- সিরাজুল ইসলাম, মাতা- মাকসুদা বেগম, সাং- বন বাংলা, থানা- মুক্তাগাছা, জেলা- ময়মনসিংহকে তার ব্যাবহৃত মোবাইল ফোনসহ গ্রেফতার করে ২ এপিবিএন এর অপস এন্ড ইন্টেলিজেন্স শাখায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী প্রাথমিক ভাবে তা স্বীকার করেন এবং তার ব্যাবহৃত মোবাইল ফোনে ধারনকৃত স্থির ছবি পাওয়া যায়। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আসামী এবং ভিকটিমকে মুক্তাগাছা থানায় প্রেরন করা হয়। এ বিষয়ে ভিকটিমের পিতা আব্দুল হালিম বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।